এবার বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন হ্যাপী

ঢালিউডের আলোচিত ও সমালোচিত মডেল, চিত্রনায়িকা নাজনীন অাক্তার হ্যাপী। বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও তার আচরণের কারণে সমাজে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তাকে আর ক্রিকেটার রুবেলকে নিয়ে নানান তর্ক, বিতর্ক এবং জল গোলা কম হয়নি। এসব কথা আর নতুন কিছু নয়। তবে নতুন কথা হলো দুনিয়াবি সব কিছু ছেড়ে এবার আল্লাহর একজন খাসবান্দা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ রোববার সন্ধা প্রায় ৮টার দিকে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন। ফেসবুক থেকে সেই স্ট্যাটাসটি এমটিনিউজ২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:- ‘বিয়ে : আমরা অনেকে বিয়ের গুরুত্ব ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। বিষয় টা এমন যে, (১) একসময় করলেই হয়! (গুরুত্ব নেই) (২) তাড়াহুড়োর দরকার কি! (আগে জিবনটা উপভোগ করে নিই তারপর) (৩) এত অল্প বয়সে? প্রেম ট্রেম করতে থাকি, একটু বয়স টা বাড়ুক তারপর! (৪) বিয়ে করে খাওয়াব কি? যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে তো নিজেরই চলে না! (৫) বিয়ে করে জিবনটা এখানেই শেষ করার মানেই হয় না! Life is one,lets celebrate! তার পর দেখা যাবে। ব্যাপারগুলো আসলে ঐরকম একেবারেই নয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না আসলে বিয়েটা আমাদের জন্য কতটা জরুরী! (১) বিয়ে আমাদের অনেক কবিরাহ গুনাহ থেকে,হারাম থেকে দূরে রাখে(২) আল্লাহ আরও বেশি রহমত দান করেন (৩) ইবাদাতে নেকি অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় (৪) বিয়ে করা সুন্নাত (কখনও কখনও কারও জন্য ফরজ,কারও জন্য সুন্নাত,কারও জন্য ওয়াজীব) (৫) ঈমান পরিপূর্ণ করতে বিয়ে অবশ্যক। (এগুলো ছাড়াও অনেক ফজিলত বিয়ের মধ্যে) বিয়ে না হলে ঈমান পরিপূর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।অবশ্যই বিয়ের গুরুত্ব সর্বোচ্চ দিতে হবে।এবং সুন্নাতের সাথেই তা সম্পূর্ণ করতে হবে।সুন্নাতেই কল্যাণ নিহীত। এখানে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল,বিয়ের জন্য আলাদা তেমন কিছুরই দরকার নেই।আমরা বিয়ে করব আল্লাহর হুকুম মানার জন্য এবং আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য।( অবশ্যই আল্লাহর ফায়সালা যখন হবে) রিযিকদাতাও পালনকর্তা একমাত্র আল্লাহ,আল্লাহর উপর ভরসা রেখেই আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। পাত্র/ পাত্রীর নির্ধারণের ক্ষেত্রে নবী বলেছেন, তোমরা দ্বীনদারীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি দাও।আমরা যদি এই বিষয়টা আমলে না নেয় ক্ষতি কিন্তু আমাদেরই।আল্লাহ মাফ করুক। আমরা যদি এই বিষয়ে সামান্য compromise করি এবং ভাবি,বিয়ের পর বুঝিয়ে সুঝিয়ে আল্লাহর পথে আনা যাবে তাহলে সেটা সবচেয়ে বড় ভুল কারণ হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ,আমি/আপনি নই। আর বিয়ের জন্য দ্বীনদার সঙ্গী পাওয়ার জন্য সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়ার মাধ্যমে চাইতে হবে।অদ্ভুদ বিষয় হলো আমরা অনেকেই দ্বীনদার বলতে বুঝি শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর রোযা রাখা।কিন্তু আমরা অনেকেই যেটা জানি না দ্বীনদার মানে হল, যে আল্লাহর ভয়ে সবসময় অস্থির থাকে , আল্লাহর হুকুম পালনে সর্বদা সতর্ক থাকে, সুন্নাতের উপর চলে এবং সুন্নাতি লেবাসে (দাড়ি রাখা,পান্জাবী পড়া,টুপি পড়া ইত্যাদি)। এক কথায় আল্লাহর খুশির জন্য যে জীবনটাও হাসতে হাসতে দিতে প্রস্তুত থাকে আর নামাজ-রোযা তো করবেই এটা আলাদা করে বলার কিছু নেই। আলহামদুলিল্লাহ! মনে রাখবেন আপনি যেমন ,আপনার সঙ্গীও তেমন হবে( অন্যথায় কিছু হলে সেটা অন্য বিষয়,আল্লাহর রহস্য আমরা বুঝি না) অতএব সাবধান! সময় থাকতেই তওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসুন।আল্লাহ ক্ষমাশীল। বিঃ দ্রঃ অনেকেই আমাকে বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন।এই প্রশ্নটা অনেক শুনতে হয় “আপনি বলেছিলেন,কোনদিন বিয়ে করবেন না।এখন কি করবেন?” উত্তর : অবশ্যই বিয়ে করব,আল্লাহ যখন ফায়সালা করবেন।একজন দ্বীনদার ছেলেকেই বিয়ে করতে চাই,যার সাথে জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ হবে ইনশাআল্লাহ! যখন বলেছিলাম বিয়ে করব না তখন আমি আল্লাহর পথে ছিলাম না।আর এখন যেহেতু আল্লাহ আমার উপর অশেষ রহমত দিয়ে ঘিরে রেখেছেন,সেহেতু আমার সবকিছু আল্লাহর খুশির জন্যই করব ইনশাআল্লাহ!’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর